মহাখালী সুপার শপ-নিদারুন চাহিদার যোগানদাতা

 আজ থেকে প্রায় ৫ বছর আগের কথা । প্রবাসী বন্ধুর ছোট ভাই কে বিবিএ এডমিশনের জন্য সাথে নিয়ে ঢাকায় গেলাম । গন্তব্য ব্রাক ইউনিভার্সিটি-মহাখালী শাখা । ছোট ভাই এর এইচ এস সি তে যে রেজাল্ট তাতে আমি সন্দিহান ছিলাম ও আদৌ ব্রাকের মতো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবে কি না । তবুও বন্ধুর কথা রাখতে সকালে ঢাকার বাসা থেকে রওনা দিলাম মহখালী তথা ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির উদ্দেশ্যে । পুরান ঢাকা থেকে বাসে করে গন্তব্যে পৌছাতেই বেলা বেড়ে ১২.৩০ হলো । ক্যাম্পাসে ছাত্র-ছাত্রীদের ভীড় ঠেলে অফিসে যোগাযোগ করলাম । যা ভেবেছিলাম তাই হলো । ছোট ভাই এর রেজাল্ট সেখানে ভর্তির জন্য সন্তোষজনক নয় । এইদিকে বন্ধু আমার বিদেশ থেকে ফোন দিয়েই যাচ্ছে যেভাবে পারিস ভর্তি করা । আমি কিছু বুঝতে পারছিলাম না ,এখন কি করা উচিৎ । 


এইভাবে বেলা গড়িয়ে বিকেল হলো । ক্ষুধাও লেগেছে প্রচন্ড । আশে পাশে পরিচিত কেউ নেই যার কাছ থেকে কোনো পরামর্শ পেতে পারি । ওয়্যারলেস গেট সংলগ্ন গলিতে একটা কনফেকশনারী দোকান পেলাম । দুই জনে হালকা কিছু খেয়ে আপাতত বাঁচি । দোকানে প্রচুর ভীড় ছিলো । তবুও দোকানীর দৃষ্টি আকর্ষন করে দুই জনে ২ টা কেক,আর এক বোতল কোমল পানীয় কিনলাম । দোকানের  বাইরে দাড়িয়েই কেক-খাচ্ছিলাম । ততক্ষনে দোকানী আমাদের কে ভালভাবে লক্ষ্য করেছে । আমিও খেয়াল করছিলাম বিষয় টা । ভীড় কমলে আমি নিজেই তার সাথে কথা বললাম । পরিচয় দিলাম । কোথা থেকে কি জন্য এসেছি ইত্যাদি সব বিষয় বললাম । তিনি একটু দরদ সুরেই আমাদের কে উৎসাহ দিলেন এবং হতাশ করলেন । তিনি ছোট ভাই কে বোঝানোর চেষ্টা করলেন এখানে ভর্তি হতে না পারলেও আমি তোমাকে এর চাইতেও ভালো জায়গায় ভর্তি করিয়ে দেবো । ততক্ষনে দোকানীর ক্ষমতা সম্পর্কে বিষদ বিবরণ পেয়ে গেছি । এই দুর্মূল্যের বাজারে তার মতো এমন একজন মহান ব্যাক্তি আমাদের সহযোগীতা করতে রাজি হয়েছে ভেবে আমি খুবই আশ্বস্ত হলাম এবং বন্ধুকে বিস্তারিত জানালাম । বন্ধুও আমার কথা শুনে এক রকম খুশিই হলো । যাইহোক,ঐ দিন আমরা ফিরে এলাম পুরান ঢাকায় আত্মীয়ের বাসায় । 

চলবে ............

Post a Comment

0 Comments