হিরো আলমের প্রথম স্ত্রী সাদিয়া আক্তার সুমি'র সাথে বিয়ে হয় ২০১০ সালে।
সেই সংসারে আলো ও আঁখি নামে দুই মেয়ে ও আবির নামে একটা ছেলে সন্তান রয়েছে তার।
২০১৪/১৫ তে একজন পাতি কমেডিয়ান হিসেবে ফেসবুকে ডেব্যু হয় হিরো আলমের। মডেল আরিফ খানকে ছেড়ে উৎসাহী তরুণরা ঝুঁকে পড়ে হিরো আলমের দিকে। তার ভুল বানানে লেখা পোস্ট, কমেডি অভিনয়ের ক্লিপগুলো শেয়ার দেয়া, তার নামে ফানি গ্রুপ ইভেন্ট খোলা ও একাধিক ফেইক আইডি খুলে তাকে মোটামুটি আলোচনায় নিয়ে আসা হয়। এরপর ধীরে ধীরে অভিনয় জগতে ছড়িয়ে পড়ে তার আধিপত্য। তৎকালীন ফেসবুক কমেডিয়ান টুনটুনি আদৃতার সাথে কয়েকটি ভিডিও গানে অভিনয় করে পরিচিতির ব্যপ্তি বাড়ে অনেকাংশে। তার ভাইরাল হওয়ার পেছনে মডেল আরিফ খান আর টুনটুনি আদৃতার অবদান অনস্বীকার্য।
পরিচিতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে হিরোর ব্যক্তি অহমিকা। একাধিক মেয়ে অভিনেত্রীর সঙ্গ পেয়ে শুরু হয় গরীব, অশিক্ষিত, অসুন্দর স্ত্রী সাদিয়া আক্তার সুমি'র সাথে দাম্পত্য কলহ। অভিনয়ের খাতিরে ঢাকায় এসে একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে হিরো আলম। তন্মধ্যে অন্যতম নুসরাত জাহান। ঢাকা থেকে বগুড়ায় ফিরে রাতদিন নুসরাতের সাথে ফোনে কথা বলা নিয়ে দ্বন্দ্ব কলহ চলে সংসার জীবনে। একপর্যায়ে স্ত্রীকে মারধোর, নির্যাতন শুরু করে সে। ২০১৯ সালের মার্চে স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার হয় হিরো আলম। আদালতে তার স্ত্রী দ্বিতীয় বিয়ের কথা তুলে ধরলে হিরো তা অকপটে অস্বীকার করে।
অত:পর স্ত্রী সাদিয়া আক্তার সুমি মামলা তুলে নিয়ে পুনরায় হিরোর সঙ্গে সংসার করার সিদ্ধান্ত জানায়।
এপ্রিলে তার জামিন হলে স্ত্রী সুমিকে তাৎক্ষণিক তালাক দিয়ে গোপনে বিয়ে করা নুসরাত জাহানকে ঘরে তোলে হিরো আলম।
হিরোর আগের সংসারের স্ত্রী সন্তানদের কথা কিছুদিন গোপন থাকলেও একসময় নুসরাত জানতে পারে সে বিবাহিত এবং তার সন্তানও রয়েছে। তাদের সাথে কোনপ্রকার সম্পর্ক নেই বলে নুসরাতকে মানিয়ে নেয় হিরো। কিন্ত তিন বছরের মাথায় হিরোর একাধিক নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক ও পরকীয়ায় আসক্তির কথা জানতে পেরে বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয় নুসরাত। হিরোর বর্তমান স্ত্রীর নাম রিয়া মনি।
ইসলাম ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক এবং অনেকগুলো অশালীন ভিডিও ক্লিপ রয়েছে তার ইউটিউব ও ডেইলিমোশন সাইটে। যা সামাজিক দৃষ্টিতে সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য এবং বর্জনীয় বটে।
অপ্রিয় হলেও সত্য যে, হিরো আলমের রাজনৈতিক প্রচারণায় সর্বাধিক ভুমিকা রয়েছে হুজুরদের। বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিল ও ফেসবুকের ইসলামিক পেইজে তাকে তুলে ধরা হয়েছে শ্রেষ্ঠ চরিত্রবানের মূর্ত প্রতীক হিসেবে।
দৃষ্টিভঙ্গি বদলান, আমরা সমাজকে বদলে দেব।
বইটি লিখেছেন সৌরভ আলম সাবিদ। ২০১৯ সালের বইমেলায় হিরো আলমের নামে বইটি লঞ্চ করেছে তরফদার প্রকাশনী।
পাঠকদের বিশ্বাস অর্জনের জন্য লেখার ভাষায় কিছুটা বগুড়ার আঞ্চলিক ভাষার ফ্লেভার দেয়া হয়েছে। যেমন রিকশাকে রিসকা লেখা হয়েছে বইতে।
বিজনেস মাইন্ড নিয়ে অনেকেই হিরো আলমকে ব্যবহার করছে এই বইটি তার একটি নমূনা। সোস্যাল মিডিয়ায় ইউটিউব চ্যানেল, ফেসবুক পেইজের রিচ বাড়াতেও বর্তমানে ইউটিউবারদের প্রধান কনটেন্ট হিরো আলম।
পাবলিক সিম্প্যাথি অর্জনের লক্ষ্যে তার পজিটিভ দিকগুলোকে হাইলাইট করা হচ্ছে। কৌশলে কিংবা অজান্তে গোপন রাখা হচ্ছে তার চারিত্রিক ত্রুটিগুলো।
সিনেমা জগতের অভিনেতা/অভিনেত্রীরা সাধারণত অশ্লীলতা, পরকীয়া ও একাধিক বিয়েতে আসক্ত। আমরা তাদের অভিনয় দেখে বিনোদিত হই। তাদের ব্যক্তি চরিত্র মূখ্য বিষয় নয়।
কিন্ত যখন তারা আমাদের প্রতিনিধি হতে চাইবে, নিশ্চয়ই চারিত্রিক গুণটাও দেখা জরুরী...
©Collected
0 Comments